স্টাফ রিপোর্টার ||বহুল আলোচিত সামাজিক সংগঠন “কৃষ্ণচূড়া ফাউন্ডেশন” এর উদ্যোগে শতাধিক ছিন্নমূল পরিবারের মাঝে শীত উপহার কম্বল ও শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়েছে,উক্ত কার্যক্রমের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে প্রীতিভোজ এর ও আয়োজন করা হয়েছিলো।উপহারপ্রাপ্ত পরিবারগুলোর আত্মসম্মান এর কথা ভেবে স্বেচ্ছাসেবীরা বিভিন্ন টিমে বিভক্ত হয়ে গোপনীয়তার সাথে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই উপহার সামগ্রী পৌছে দেন। ভিন্নধর্মী এ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সংগঠন এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মিল্লাত,সভাপতি আশিক মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার রুমান শাহ সহ সকল স্বেচ্ছাসেবীরা। সংগঠনটি প্রত্যেক বছর ই ” শীতার্তদের পাশে আমরা ” বাস্তবায়ন করে আসছে এছাড়াও করোনাকালে সংগঠনটির সক্রিয়তা ছিল প্রসংসনীয় টেলিমেডিসিন থেকে শুরু করে ফোন কলের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তাও দিয়েছে এবং বন্যায় বেশ কয়েকটি সফল কার্যক্রম এবং রক্তদানের মাধ্যমে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে ছিলো। এছাড়াও শেরপুর জেলার প্রথম সামাজিক সংগঠন হিসাবে অর্ধ শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশোনার সার্বিক খরচ ব্যবস্থাপনায় কাজ করে যাচ্ছে ” কৃষ্ণচূড়া ফাউন্ডেশন”।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মিল্লাত বলেন ” কোনো রকম পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবীদের অর্থায়নেই আমরা আমাদের কার্যক্রমগুলো করে থাকি, সকল বয়সের বিশেষ করে তরুনরা সংগঠন এর কার্য্রক্রমে মুগ্ধ হয়ে আমাদের সাথে কাজ করছে,দ্রুতই দেশের বিভিন্ন জেলায় আমাদের শাখা হচ্ছে পরবর্রী কার্যক্রমগুলো সারা দেশব্যাপী একসাথে হবে “।
সাধারণ সম্পাদক খন্দকার রুমান শাহ বলেন
” আমরা ইতোপূর্বে বেশ কয়েকটি সফল কার্যক্রমের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে”।
সভাপতি আশিক মাহমুদ বলেন ” প্রত্যেক ঈদে উপহার নিয়ে যখন বাড়ি বাড়ি যাই মানুষগুলোর হাসিমুখ দেখলেই সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়-সর্বোপরি মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি এটাই আমাদের অর্জন,পরিশ্রমের স্বার্থকতা “।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সাকিব বলেন ” পাশে ছিলাম,আছি,থাকবো স্লোগানের আদর্শে কাজ করে যাচ্ছি, সামর্থ অনুযায়ী অসহায়-সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাড়াতে আমি এবং আমার স্বেচ্ছাসেবীরা বদ্ধপরিকর “।
সারাদেশের বিভিন্ন শাখা মিলিয়ে সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবী সংখ্যা তিন শতাধিক।