নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি: হঠাৎ করেই তাপমাত্রা অস্বাভাবিক মাত্রায় নেমে গেছে। সর্বত্রই অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। দেশের বিভিন্ন জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈতপ্রবাহ যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
প্রবাদ আছে ‘মাঘের শীতে বাঘ পালায়’! এবার সেই প্রবাদের মর্মার্থ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে শেরপুর জেলাধীন নকলা উপজেলার মানুষ।
মাঘের শীতে বাঘ না পালালেও নকলা উপজেলার মানুষ তীব্র শীতের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। কিছু সময়ের জন্য সূর্য উঁকি দিলেও বিকেল গড়াতেই তা আর থাকে না। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে কমে আসে তাপমাত্রাও। মাঝরাতে অনুভূত হয় হাড় কাঁপানো শীত। শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তিও বেড়েছে। ফলে শ্রমিক, মজুর ও দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষগুলোর কাজ কর্মেও ছন্দপতন ঘটেছে। সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না তারা।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে সরেজমিনে গিয়ে নকলা পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিন্ম আয়ের মানুষদের।
গত কয়েক দিনে শীতের ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো ফুটপাতে শীতের কাপড় ক্রয়ের জন্য ভিড় জমাচ্ছেন।
এদিকে তীব্র শীতে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলো।
রিক্সাচালক মাসুম বলেন, প্রচণ্ড শীত লাগছে ঠাণ্ডার জন্য রিক্সা চালানো যাচ্ছে না। হাত ও পায়ের পাতা মনে হচ্ছে বরফ হয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি চাকরিজীবী শারমীন জানান, সকাল ৯টার মধ্যে অফিসের উদ্দেশে বের হতে হয়। প্রচণ্ড শীতের কারণে রিক্সা না নিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। যাতে শরীরটা একটু গরম থাকে কিন্তু হিমেল হাওয়ায় জবুথবু অবস্থা।
অন্যদিকে শীতের দাপটের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে,শীতের তীব্রতার কারণে শ্বাসকষ্ট, সর্দি,কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে মানুষ।