নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশ ও জনগণের উন্নয়ন হয়। কিন্তু বিএনপি ও জামায়াত ক্ষমতাসীন হওয়া মানে ধ্বংস ডেকে আনা। ২০০৮ সালে বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করার পর থেকে দেশের উন্নয়ন করে চলেছে।’
আজ সোমবার বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই খুলনায় উদ্বোধন করা ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের কথা বলেন। তিনি তাঁর সরকারের বাজেটের আকারের কথা উল্লেখ করে বলেন, আগে অল্প টাকার বাজেট হতো, এখন লক্ষ, কোটি টাকার বাজেট হয়। এ কারণে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও হচ্ছে।
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই খুলনা নগরী থেকে খালেদা জিয়া নির্বাচন করেছিলেন।
কিন্তু খুলনার উন্নয়ন করেননি। উল্টো মোংলা বন্দর বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আমরা ক্ষমতায় এসে এ বন্দর চালু করেছি। এখন বন্দরকে ঘিরে প্রচুর কল-কারখানা তৈরি ও হাজার হাজার মানুষের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, এই বন্দরটি (মোংলা) প্রতিবেশী দেশ ভারত, ভুটান ও নেপাল ব্যবহার করবে।
বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। কয়েকদিন আগেই উদ্বোধন করা হয়েছে খুলনা-মোংলা রেললাইন।
বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা দেশের উন্নয়ন চায় না, ধ্বংস চায়। এ কারণেই অবৈধ পন্থায় সরকার হঠাতে চায়। গত ২৮ অক্টোবর তারা ঢাকায় সমাবেশের নামে এক পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। অসংখ্য সাংবাদিককে তারা আহত করে। আন্দোলনের নামে তারা বাসে আগুন দেয়, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। ইতোমধ্যে এসব সন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।’ অগ্নিসংযোগকারীদের ধরিয়ে দিতে জনসভায় যোগদানকারীদের আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি তাঁর বক্তৃতায় খুলনার ব্যাপক উন্নয়ন ও মোংলা বন্দরের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি অঙ্গীকার করেন, আসন্ন নির্বাচনে খুলনা বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভ করবে, সেটাই হবে প্রধানমন্ত্রীকে খুলনার উপহার।